পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ৮২নং মধ্য চর বিশ্বাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাসেল মিয়াকে ব্যাপক ভাবে মারধর করেছে সজল মুন্সি নামের এক বখাটে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্য চর বিশ্বাস গ্রামের বিদ্যালয় সংলগ্ন চা এর দোকানের সামনে। স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলা বুনিয়া গ্রামের মোহসিন মোল্লার পুত্র মো. রাসেল মিয়া ২০১৬ সালে সরকারী ভাবে নিয়োগ পেয়ে ৮২নং মধ্য চর বিশ্বাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার আগেই বিদ্যালয়ে স্বাক্ষর করে বিদ্যালয় সংলগ্ন ইব্রাহিমের চায়ের দোকানে চা পান করতে যান।
কিছু বোঝার আগেই বসে থাকা সজল মুন্সি নামের এক বখাটে শিক্ষক মো. রাসেলকে মেহগিনির ডাল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি পিটাতে থাকলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে সজল মুন্সির নেতৃত্বে বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় উজ্জল হাওলাদার ওই শিক্ষককে মারার জন্য উদ্ব্যত্ত হয়। তখন বিদ্যালয়ের কোমল মতি শিক্ষার্থীরা আতংকে ছুটাছুটি করে।
এ ব্যাপারে ৮২নং মধ্য চর বিশ্বাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মু. আব্দুল হালিম মিয়া জানান, রাসেল স্যার ৯টার আগেই আমার অনুমতি নিয়ে চা পান করতে গেলে তাকে মারধর করে এমনকি ঘটনার পরও দল বল নিয়ে সজল মুন্সি ওই স্যারকে পুনারায় মারতে আসলে চরবিশ্বাস ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সিকে খবর দিলে তাৎক্ষনিক সজল মুন্সি পালিয়ে যায়। সজল মুন্সি জানান, ওই শিক্ষক আমাদের বাড়িতে লজিং থাকাকালীন আমার স্ত্রীকে বিরক্ত করত। তাই আমরা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছি।
আমি তাকে বার বার নিষেধ করা সত্বেও সে আমাকে বর্তমানে ফোনে গালমন্দ করে। আজ হঠাৎ দুই জনে মুখোমুখি দেখা হলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতি হয়। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর রেজাউল ইসলাম জানান, মারধরের ঘটনা ঘটায় শিক্ষক মো. রাসেল হাসপাতালে ভর্তি। গলাচিপা থানার প্রতিনিধি ওই শিক্ষককে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।